Thursday, October 22, 2015

নোয়াখালী সদর-মাইজদি

কোন জেলায় গেলে মানুষ সেই শহরের সদরে থাকতে চায়। নোয়াখালীর সদর হচ্ছে মাইজদি। আদি নাম সুধারাম। এই পর্বে আমি মাইজদি সম্পর্কে জানাবো আপনাদের। মাইজদি থানার আয়তন ৩৩৬.২১ বর্গ কি.মি। বাংলাদেশের থানা হিসেবে কিন্তু ছোট না একেবারে। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি  থেকে ৭৬৪ গুন বড়। প্রথমেই বলে নেই আপনি যদি মাইজদিতে গিয়ে গ্রামের স্বাদ খুজেন, তাহলে ভুল করবেন। মাইজদি শহর খুবই আধুনিক। বাড়ি-ঘর এবং রাস্তা-ঘাট সবই পাকা এবং খুবই ছিমছাম।  ভ্রমনপিপাসুদের
জন্য মাইজদিতে কয়েকটি জায়গা রয়েছে যা একদিনে ঘুরেই শেষ করতে পারবেন। দর্শনীয় জায়গাগুলো হচ্ছে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জেলা জামে মসজিদ যা ১৯৫০ সালে নির্মিত, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, আদালত প্রাঙ্গন, পাবলিক লাইব্রেরি। ছোটখাটো একটি পার্কও রয়েছে মাইজদি শহরে।

মাইজদি উপজেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ নোয়াখালী বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০ একর জমির উপর নির্মিত এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলাভূমি। নোয়াখালী আসলে অবশ্যই নোয়াখালী বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসবেন।  

থাকার জায়গার জন্য মাইজদি নোয়াখালীতে সবচেয়ে ভালো জায়গা। এখানে রয়েছে তিন তারকা হোটেল যার নাম নাইস গেস্ট হাউজ। জেলা শহরে এর থেকে ভালো মানের হোটেল আপনি আর কোথাও পাবেন না। তাদের খাবার ব্যাবস্থাও খুব ভালো। একটু কমে থাকতে চাইলে যেতে পারেন
নোয়াখালী সার্কিট হাউস, গণপূর্ত রেস্ট হাউস, সওজ রেস্ট হাউস, এলজিইডি রেস্ট হাউস, বন বিভাগ রেস্ট হাউস, রেড ত্রিুসেন্ট রেস্ট হাউস, বিআরডিবি রেস্ট হাউস, আল-আমিন গেস্ট হাউস, পূবালী হোটেল, হোটেল আল-মোর্শেদ, হোটেল লিটন, হোটেল নিজাম, হোটেল রাফসান, হোটেল আর-ফারহান, হোটেল রয়েল, হোটেল মোবারক, গুড হিল কমপ্লেক্স। বুঝতেই পারছেন থাকার জায়গা নিয়ে মাইজদিতে কোন সমস্যা নেই

মাইজদিতে রয়েছে কিছু খাবারের চমৎকার খাবারের দোকান। এইখানে এসে এই খাবারগুলো টেস্ট করতে ভুল করবেন না। দত্তের হাটের শ্রীরামের রসগোল্লা এবং জিলাপি, মোহাম্মদিয়া হোটেলের পরোটা, গরুর মাংস হালিম, দই এবং চা, ফাইভ স্টার হোটেলের রসগোল্লা,  শহীদ মিনারের সামনে কচিকাঁচার মেলার সামনের রঙ চা এইগুলোর স্বাদ অবশ্যই নিয়ে আসবেন। 

No comments:

Post a Comment